মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার ত্রিমোহনী থেকে ফুলছড়ি উপজেলা সদর কালীর বাজার রাস্তাটির বেহাল দশা। ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাচা রাস্তাটি পাকাকরণে দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর উন্নয়নে নজর না দেয়ায় রাস্তাটি এখন পথচারীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্র্রতিদিন এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দিয়ে ওই এলাকার ৬ গ্রামের মানুষ ফুলছড়ি উপজেলা সদরসহ গাইবান্ধা জেলা সদরে যাতায়াত করেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা এবং গর্তের কারণে রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন তো দুরের কথা মানুষের চলাচলই কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া শুকনো মৌসুমেও ধুলাবালির কারণে ওই পথে লোক চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হয়।
ত্রিমোহনীর পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে এ রাস্তাটি আলাই নদী ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অতিক্রম করে ফুলছড়ি উপজেলা সদর কালীর বাজারে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। এ রাস্তাটি সম্পুর্ণ কাঁচা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন এবং পায়ে হেঁটে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি এতই অসমতল ও এবড়োথেবড়ো যে, সন্ধ্যার পর একটু অন্ধকারে হেঁটে চলাচল করতে হোঁচট খেতে হয়। তাই অনেক সময় এ রাস্তা এড়িয়ে অনেকে ঘুর পথে চলাচল করে। দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি মেরামত বা এর উন্নয়নে কোন কাজ করা হয়নি।
এব্যাপারে এলাকাবাসিরা জানান, রাস্তাটি পাকা করার জন্য গাইবান্ধা সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রশাসনের বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তারপরও রাস্তাটির কোন কাজ হচ্ছে না। সারাদেশের সবজায়গায় উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। ওই এলাকার অটোরিক্সা চালক লোকমান হাকিম বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় অনেক কাদা হয়। এই কাদার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলাচল করাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই রাস্তাটি দিয়ে অটোরিক্সা নিয়ে অনেক কষ্ট করে চলাচল করতে হয়।